অর্থ ও রাজনৈতিক দলের সুপারিশে আওয়ামী লীগের অনেক অপরাধীর জামিন হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এগুলো কীভাবে এবং কার সুপারিশে হয়? এই দায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুল এড়াতে পারেন কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছেন জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া এই নেতা। এসময় আসিফ নজরুলের পদত্যাগও দাবি করেন সারজিস আলম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১২টায় সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে সারজিস আলম একটি পোস্ট দেন। যেখানে অন্তর্র্বতী সরকারের অধীনে হওয়া বিচারকার্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

সারজিস তার পোস্টে লিখেছেন, টাকা আর রাজনৈতিক দলের সুপারিশে অনেক হত্যাকারী আওয়ামীলীগারের জামিন হয়ে যায়। টাকা আর রাজনৈতিক সুপারিশ নাই বলে আওয়ামী আমলে জুলুমের শিকার অনেক মজলুমের জামিন হয় না। শাপলা হত্যাকাণ্ডে হেফাজতের উপরে চাপানো মিথ্যা মামলায় অনেক মজলুম আলেম এখনো আদালতে চক্কর কাটে, কারাগারে বন্দী থাকে।

এনসিপি এই নেতা আরও বলেন, অথচ এমন অনেক দাগী আসামি বিগত কয়েক মাসে জামিন পেয়েছে যারা বিএনপির সাথে সংযুক্ত হলেও বিএনপির সময়ে তাদের কৃতকর্ম ও অপরাধের জন্য জেলে গিয়েছে। এগুলো কিভাবে হয়? কার সুপারিশে হয়? কোন আইনজীবী এবং বিচারকের প্রত্যক্ষ মদদে হয়?

উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চেয়ে তিনি লেখেন, প্রকাশ্য দিবালোকে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো মানুষ খুন হলো, এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরলো, তারপরও নয় মাসে একটা বিচারকার্য সম্পন্ন হয় না ! একটা খুনের বিচার হয় না! এই দায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুল স্যার কি কোনো ভাবে এড়াতে পারে? তাহলে কি আমাদের এখন তার পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয়?